02 Sep
02Sep

ভূমিকা

জার্মানি, ইউরোপের কেন্দ্রে অবস্থিত একটি দেশ, তার ইতিহাস, সংস্কৃতি, এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। দেশটি বিভিন্ন ঐতিহাসিক সময়কালের মধ্যে গঠিত হয়েছিল এবং বর্তমান সময়ে এটি একটি শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ এবং একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

ইতিহাস

জার্মানির ইতিহাস দীর্ঘ এবং জটিল:

  • প্রাচীন কালের ইতিহাস: জার্মানির ইতিহাস প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের সময়কালে ফিরে যায়, যখন এটি "গারমেনিয়া" নামে পরিচিত ছিল। এই সময়ে বিভিন্ন জার্মানic উপজাতি রোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল।
  • মধ্যযুগ: মধ্যযুগের সময়কালে, জার্মানি বিভিন্ন ছোট রাজ্যে বিভক্ত ছিল। ৯ শতকের দিকে, কারোলিংিয়ান সাম্রাজ্যের পতনের পর, এই অঞ্চলে অনেক সামন্ত রাজ্য গড়ে ওঠে।
  • হোহেনস্টাউফেন সাম্রাজ্য এবং পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য: ১৩ শতকের দিকে, জার্মানি পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের অংশ হয়ে ওঠে, যা ১৮০৬ সাল পর্যন্ত চলেছিল।
  • উন্নত শাসন ও আধুনিক যুগ: ১৮৭১ সালে, অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর জার্মানি একটি জাতীয় রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৪-১৯১৮ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯৩৯-১৯৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জার্মানির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যুদ্ধের পর দেশটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়, এবং ১৯৯০ সালে পুনরায় একত্রিত হয়।
জার্মানি দর্শনীয় স্থান


দর্শনীয় স্থান

জার্মানিতে ভ্রমণের জন্য কিছু জনপ্রিয় স্থান:

  • বের্লিন: জার্মানির রাজধানী, যা তার ঐতিহাসিক স্থান এবং আধুনিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এর দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রান্ডেনবুর্গ গেট, রাইখস্ট্যাগ বিল্ডিং, এবং বर्लিন ওয়াল মেমোরিয়াল।
  • মিউনিখ: বাভারিয়ান রাজ্যের রাজধানী মিউনিখ তার ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং সাস্পষ্ট জীবনধারা জন্য পরিচিত। এখানে মারিয়েনপ্লাতজ, নিও গথিক সিটি হল এবং বাভারিয়া মিউজিয়াম উল্লেখযোগ্য।
  • নুরেমবার্গ: এই শহরটি তার ঐতিহাসিক স্থাপত্য এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নুরেমবার্গ ট্রায়ালের জন্য বিখ্যাত।

ভ্রমণ গাইড

জার্মানিতে ভ্রমণের জন্য কিছু পরামর্শ:

  1. ভিসা: জার্মানিতে প্রবেশের জন্য অনেক দেশ থেকে পর্যটকদের ভিসা প্রয়োজন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সদস্য দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রয়োজন হয় না।
  2. পরিবহন: জার্মানিতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অত্যন্ত উন্নত। ট্রেন, বাস, এবং ট্রাম ব্যবহার করে সহজে শহর এবং গ্রামগুলো ভ্রমণ করা যায়।
  3. আবহাওয়া: জার্মানিতে আবহাওয়া মৌসুম অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। গ্রীষ্মে উষ্ণ এবং শীতে ঠাণ্ডা। তদনুসারে পোশাক সাথে রাখা উচিত।
  4. ভাষা: জার্মান ভাষা দেশের প্রধান ভাষা, তবে অনেক মানুষ ইংরেজি জানেন, বিশেষত পর্যটন এলাকায়।
Comments
* The email will not be published on the website.