02 Sep
02Sep

জিব্রাল্টার, ইউরোপের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত একটি ছোট অঞ্চল যা ব্রিটিশ অঞ্চলের অধীন। এটি প্রাচীন ও আধুনিক ইতিহাসের মিলনে ভরপুর এবং একদিকে সমুদ্রের নীল জলরাশির সাথে, অন্যদিকে পাহাড়ের শৃঙ্গের সৌন্দর্যের সমাহার ঘটায়। ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যের মিলনে এটি একটি আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য।

ইতিহাস

  • প্রাচীনকাল: জিব্রাল্টার তার প্রাচীন ইতিহাসের জন্য পরিচিত, যা রোমান সাম্রাজ্য ও মোরা সভ্যতার যুগের উপর ভিত্তি করে। প্রাচীন কালেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা ছিল।
  • মোরা যুগ: 711 খ্রিস্টাব্দে, মুসলিমরা জিব্রাল্টার দখল করে এবং এটি তাদের সামরিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মোরিশ স্থাপত্য এখানকার ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
  • ক্রুশেড এবং ব্রিটিশ যুগ: 1462 সালে স্পেনের অধীনে চলে আসে জিব্রাল্টার, এবং 1704 সালে ব্রিটিশরা এটি দখল করে নেয়। 1713 সালের উদলিস চুক্তির মাধ্যমে এটি ব্রিটিশ উপনিবেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ সামরিক শক্তির কারণে এটি একটি কৌশলগত সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিচিত।
জিব্রাল্টার দর্শনীয় স্থান


দর্শনীয় স্থান

  • গিব্রাল্টার রক: জিব্রাল্টার রক একটি বিশাল সাদা মার্বেল পাহাড় যা শহরের সবচেয়ে পরিচিত প্রাকৃতিক স্মারক। এই পাহাড়ের উপরে উঠলে, দর্শনার্থীরা মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন, এবং বিভিন্ন প্রকারের বন্যপ্রাণী যেমন ব্রিটিশ মাকাক্কাস দেখতে পাবেন।
  • সেন্ট মাইকেল গুহা: এই গুহা একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উদাহরণ। এটি গিব্রাল্টার রক-এর ভিতরে অবস্থিত এবং দর্শনার্থীদের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান।
  • অল্ড টাউন: গিব্রাল্টারের ঐতিহাসিক অংশ হিসেবে পরিচিত অল্ড টাউন তার সঙ্কীর্ণ গলি এবং ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলির জন্য বিখ্যাত। এখানে আপনি ঔপনিবেশিক স্থাপত্য এবং স্থানীয় বাজারে ঘুরে বেড়াতে পারেন।
  • গিব্রাল্টার বোটানিক গার্ডেন: এই গার্ডেন একটি শান্তিপূর্ণ স্থান, যেখানে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদ এবং ফুল দেখতে পাবেন।

ভ্রমণ গাইড

  1. ভিসা: জিব্রাল্টার ব্রিটিশ অঞ্চলের অধীন হওয়ায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেনের নাগরিকদের জন্য ভিসার প্রয়োজন নেই। অন্যান্য দেশগুলির নাগরিকদের জন্য, তাদের নিজ দেশের ব্রিটিশ দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে।
  2. পরিবহন: জিব্রাল্টারে পরিবহন ব্যবস্থা ভালো। শহরের মধ্যে ট্যাক্সি, বাস এবং ট্রেন সার্ভিস রয়েছে। এছাড়াও, গাড়ি ভাড়া করার সুবিধাও রয়েছে।
  3. আবহাওয়া: গিব্রাল্টার সাধারণত মৃদু জলবায়ু পায়, তবে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই, উষ্ণ আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত পোশাক পরিধান করা উচিত।
  4. ভাষা: ইংরেজি ভাষা অফিসিয়াল ভাষা হলেও, স্থানীয়রা স্প্যানিশ ভাষাও ব্যবহার করে।
Comments
* The email will not be published on the website.