আধুনিক বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ দূষণের হুমকির মুখে গ্রিন ফিনান্স এবং কার্বন ক্রেডিট টেকনোলজি একটি অপরিহার্য হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। গ্রিন ফিনান্স হলো পরিবেশবান্ধব প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগ, যেমন নবায়নযোগ্য শক্তি, সবুজ কৃষি এবং টেকসই পরিবহন। অন্যদিকে, কার্বন ক্রেডিট হলো কার্বন নির্গমন হ্রাসের জন্য ট্রেডেবল ইউনিট, যা কোম্পানিগুলোকে তাদের নির্গমন অফসেট করতে সাহায্য করে।২০২৫ সালে গ্লোবাল কার্বন ক্রেডিট মার্কেট ৪৯৮৩.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে, যা নেচার-বেসড সল্যুশন এবং ব্লকচেইনের মাধ্যমে চালিত।
বাংলাদেশে, যেখানে ক্লাইমেট ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্সি বাড়ানো হচ্ছে, এই প্রযুক্তিগুলো অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পরিবেশ রক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
এই লেখায় আমরা এই দুটি ক্ষেত্রের ধারণা, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, সুবিধা, চ্যালেঞ্জ এবং বাংলাদেশে এর প্রয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
গ্রিন ফিনান্স হলো পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে অর্থায়ন, যেমন গ্রিন বন্ড, লোন এবং ইকুইটি ফান্ড। এটি ক্লাইমেট চেঞ্জ মোকাবেলায় বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে। ২০২৫ সালে গ্লোবাল গ্রিন ফাইন্যান্স মার্কেট ২০০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা রিনিউয়েবল এনার্জি এবং সাসটেইনেবল ইনফ্রাস্ট্রাকচারে ফোকাস করছে।
কার্বন ক্রেডিট হলো ১ টন CO2 নির্গমন হ্রাসের জন্য ট্রেডেবল সার্টিফাইড ইউনিট। এটি ক্যাপ অ্যান্ড ট্রেড (Cap and Trade) বা অফসেট মার্কেটে ব্যবহৃত হয়। ২০২৫ সালে গ্লোবাল কার্বন ক্রেডিট সাপ্লাই ২০-৩৫ গুণ বাড়তে পারে, যা ইন্টেগ্রিটি-ফোকাসড রিসেট এবং ডাইভার্স সল্যুশন দিয়ে চালিত।
গ্রিন ফিনান্স এবং কার্বন ক্রেডিট একত্রে কাজ করে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে। কার্বন ক্রেডিট বাজার গ্রিন ফাইন্যান্সকে আনলক করে, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথে। ২০২৫ সালে কার্বন মার্কেট কনভার্জেন্স ক্লাইমেট ফাইন্যান্সের টার্নিং পয়েন্ট।
ব্লকচেইন কার্বন ক্রেডিটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে এবং গ্রিন ফাইন্যান্সে ট্রাস্ট বাড়ায়। বাংলাদেশে ব্লকচেইন-পাওয়ার্ড প্ল্যাটফর্ম কার্বন মার্কেট ডেভেলপ করতে পারে।
বাংলাদেশে গ্রিন ফাইন্যান্সিংয়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রিন ব্যাংকিং গাইডলাইন রয়েছে, যা ৫% ক্রেডিট কোটা নির্ধারণ করেছে।কার্বন ফাইন্যান্সিং ক্লাইমেট প্রসপারিটি আনলক করতে পারে।
২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন ক্রেডিট সাপ্লাই ২০-৩৫ গুণ বাড়বে। বাংলাদেশে গ্রিন ফাইন্যান্স ২০৪১ ভিশনের সাথে যুক্ত হবে।
গ্রিন ফিনান্স এবং কার্বন ক্রেডিট টেকনোলজি টেকসই অর্থনীতির চাবিকাঠি। বাংলাদেশে এর প্রয়োগ পরিবেশ রক্ষা এবং উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।